ফিফার রেকর্ড পরিমাণ ইনকাম কাতার বিশ্বকাপে যা আগে কখনো হয়নি

 



একমাসের জমজমাট লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ। টাকার ঝনঝনানি বেজেছে এবারের বিশ্বকাপে। কাতার সরকারের যে পরিমাণ খরচ হয়েছিল, তা দেখে অনেকেই আঁতকে উঠেছিলেন। কিন্তু সব শঙ্কা দূর করে লাভের মুখ দেখলো ফিফা।


কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন ছিল স্মরণকালের সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপের যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে কাতারের খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ লাখ কোটি টাকা। গত ২০১৮ রাশিয়া আসরের চেয়ে বাইশ গুণ বেশি অর্থ খরচ হয়েছে এবারের আসরে।


প্রশ্ন উঠছিল, বিশ্বকাপ থেকে এতো টাকা আয় করতে পারবে তো ফিফা? তবে বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বেশ মোটা অঙ্কের লাভ পেয়েছে বিশ্ব ফুটবলের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কেবল বাণিজ্যিক চুক্তি থেকেই ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে ফিফার। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের আয়ের তুলনায় এটি অন্তত ১০০ কোটি ডলার বেশি।

ফিফার আয় আসে মূলত পাঁচটি ক্যাটাগরি থেকে। টিভি সম্প্রচার স্বত্ত্ব, বিপণন অধিকার, সেবা অধিকার ও টিকিট বিক্রি, নিবন্ধন অধিকার ও অন্যান্য লাভ। যেখানে সবচেয়ে বড় লাভ আসে সম্প্রচার স্বত্ব থেকে। এবারো তার ভিন্ন হয়নি, ফিফার মোট আয়ের অবদান প্রায় ৫৬ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ শতাংশ দেয় বিপণন খাত। আর বাকি ১৫ শতাংশ আসে অন্য খাতগুলো থেকে। তবে কোনো খাত থেকে কি পরিমাণ আয় হয়েছে, তা এখনো জানায়নি ফিফা। 

ধারণা করা হচ্ছে বিগত সব আসরকেই ছাড়িয়ে যাবে এবারের আয়। মূলত প্রতি চার বছর পরপর চুক্তি পুনর্বিন্যাস করে ফিফা। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া বিশ্বকাপের হিসাব চক্রে স্পন্সরদের কাছ থেকে ৬৪০ কোটি ডলার আয় হয় ফিফার। তবে কাতার বিশ্বকাপ শেষে প্রথমবারের মতো এক হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়াবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।


Sponsar
Share It